বুমরাহ-সঞ্জনার প্রেমে নেপথ্যে আইপিএলের চমকপ্রদ মোড়
জসপ্রীত বুমরাহ ও সঞ্জনা গণেশনের প্রেমকাহিনি যতটা রোম্যান্টিক, তার পেছনে ততটাই নাটকীয় এক কাকতালীয় মুহূর্ত। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ থেকেই শুরু হওয়া সেই সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায় ২০২১ সালে, কিন্তু জানেন কি—এই পরিণয়ের পেছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিল কেকেআরের হার?
সঞ্জনা গণেশন তখন কেকেআরের টিমের হয়ে উপস্থাপনার দায়িত্বে, আর বুমরাহ খেলছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে। ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আয়োজিত কোভিডের জৈব-বলয়ে আবদ্ধ আইপিএলে একই হোটেলে থাকলেও, আলাদা বলয়ে থাকার কারণে দেখা হয়নি তেমন। কিন্তু ভাগ্যের খেলা এমনই—কেকেআর টুর্নামেন্ট থেকে দ্রুত বিদায় নেওয়ায় সঞ্জনার স্থানান্তর ঘটে মুম্বইয়ের বলয়ে। এই স্থানান্তরই সুযোগ করে দেয় বুমরাহকে মনের কথা বলার।
বুমরাহ বলেন, “আমি প্ল্যান করেছিলাম কেক, আংটি, সব নিজেই এনেছিলাম। কাউকে জানাতে চাইনি। একা একা সব ব্যবস্থা করে, সঞ্জনাকে প্রস্তাব দিই। ও রাজি হয়ে যায়।” সঞ্জনা হেসে বলেন, “সম্ভবত কেকেআরের বিদায় নেওয়ায় আমি একমাত্র খুশি ছিলাম!”
তাঁদের প্রথম সাক্ষাতও বেশ মজার। ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অনুশীলনের সময় সঞ্জনার সঙ্গে প্রথম দেখা হয় বুমরাহর। সঞ্জনা বলেন, “সবাই যখন আমাদের দিকে হাত নাড়ছিল, তখন ও একেবারে কড়া মুখ করে দাঁড়িয়ে ছিল। যেন প্রতিজ্ঞা করেছিল, একটাও হেসে দেখাবে না!” সঞ্জনার মনে হয়েছিল, হয়তো বুমরাহ বিবাহিত, তাই এড়িয়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে থাকে সম্পর্কের সমীকরণ। একসময় শুরু হয় কথা, আর সেখান থেকেই জমে ওঠে সম্পর্ক। বুমরাহ বলেন, “আমি বরাবরই লাজুক। কাউকে হাই বলাটাও সময় লাগে। সঞ্জনা ভেবেছিল আমি বিবাহিত, এটা কেমন যুক্তি!”
তাঁদের সম্পর্ক কেবলমাত্র প্রেম বা বিয়েতেই সীমাবদ্ধ নয়। তাঁদের জীবনে এসেছে আরও এক নতুন অধ্যায়—পুত্র অঙ্গদের জন্ম। ২০২৩ সালে সন্তানের জন্মের পরই ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করেন বুমরাহ, আর ম্যাচ শেষে স্ত্রীর সঙ্গে উল্লাসে মাতেন মাঠেই।
এই সম্পর্কের একটা বড় দিক হল পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া এবং ভাগ্যের সূক্ষ্ম বাঁক। ক্রিকেট মাঠে যেমন বুমরাহের নিয়ন্ত্রণ অসাধারণ, জীবনের ম্যাচেও ঠিক তেমনই নিখুঁত পরিকল্পনায় ছক কষেছিলেন তিনি। আর কেকেআরের সেই একটি হারের জন্যই আজ তাঁরা একে অপরের জীবনসঙ্গী।
‘আমার জীবনের চালিকাশক্তি তুমি’ – জন্মদিনে রুক্মিণীকে আদর করে দেব দিয়েছে স্পেশাল শুভেচ্ছা