ওড়িশায় জাল নোটের চক্র ফাঁস!!
ওড়িশার জাজপুর জেলায় পুলিশের তৎপরতায় ফাঁস হয়ে গেল একটি বড় জাল নোট চক্র। ঘটনাটি সামনে আসে এক দোকানদারের সন্দেহ থেকে, যার ফলস্বরূপ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এই চক্রের অন্যতম দুই সদস্য। উদ্ধার হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ টাকার জাল নোট এবং নোট ছাপানোর বিভিন্ন সরঞ্জাম।
ঘটনার সূত্রপাত একটি সাধারণ দোকানে। এক ব্যক্তি দোকানে গিয়ে ২০০ টাকার একটি নোট দিয়ে কিছু জিনিসপত্র কিনতে চাইছিলেন। তবে দোকানদারের চোখে নোটটি সন্দেহজনক মনে হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আশপাশের দোকানদারদের খবর দেন। সকলে মিলে সেই ব্যক্তিকে আটকে রাখেন এবং খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেফতার করে।
ধৃতকে জেরা করার পর পুলিশের সামনে উঠে আসে এক বড় জালিয়াত চক্রের চেহারা। তদন্তে জানা যায়, এই চক্রের অন্যতম মূল মাথা চন্দ্রমণি বল নামে এক ব্যক্তি, যিনি জাজপুর জেলার বাসিন্দা। এরপর পুলিশ তাঁর বাড়িতে হানা দেয় এবং সেখান থেকেই উদ্ধার হয় প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার জাল নোট। শুধু তাই নয়, বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নোট ছাপানোর প্রিন্টার, রং ও কাঁচামাল, যা এই চক্রের ব্যাপকতা এবং পরিকাঠামোর প্রমাণ দেয়।
তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, চন্দ্রমণি বল এর আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন এবং এক সময় অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে।
ভদ্রক মহকুমার পুলিশ আধিকারিক বিচিত্রনন্দ শেট্টি জানিয়েছেন, “ধৃতের কাছ থেকে প্রাথমিক তদন্তে যে তথ্য মিলেছে, তাতে ওড়িশার একাধিক জেলায় এই জাল নোটের চক্র সক্রিয় ছিল। এমনকি চক্রটি ওড়িশা ছাড়িয়ে অন্য রাজ্যেও বিস্তৃত হতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’’
চন্দ্রমণির বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিসের মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হল ৭ হাজারের বেশি জাল নোট যা হয়ত বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। এই জালিয়াতি চক্রের মধ্যে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখতে পুলিশ রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, এভাবে জাল নোট ছাপিয়ে রাজ্যের অর্থনীতিতে কী পরিমাণ প্রভাব পড়ছে? আর কতটা গভীরে গিয়েছে এই চক্রের শিকড়? পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদেরও শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনায় ফের প্রমাণ হল, সাধারণ মানুষের সতর্কতা এবং পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ না হলে, সমাজে এই ধরনের অপরাধ আরও বিস্তৃত হতো। এখন দেখার, তদন্ত কতদূর এগোয় এবং এই চক্রের মূল মস্তিষ্কদের কত দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়।
ফের জৈসলমের! নতুন রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে যাচ্ছেন সব্যসাচী, সঙ্গী মেঘলা