এয়ারবিএনবির নিয়ম ভেঙে বিতর্কে লিলি ফিলিপস
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ব্রিটেনের ‘অনলি ফ্যানস’ তারকা লিলি ফিলিপসের। সম্প্রতি এক দিনে ১০১ জন পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করে আলোড়ন তোলার পর তিনি আরও বড় নজির গড়ার লক্ষ্য স্থির করেছেন। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক দিনে ১,০০০ পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করে বিশ্বরেকর্ড গড়তে চান লিলি। তবে এই লক্ষ্য পূরণের প্রস্তুতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এক বড় বিতর্ক।
লন্ডনে একটি এয়ারবিএনবি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ১০১ জন পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করেছিলেন লিলি। এতে সংস্থার নিয়ম ভঙ্গের দায়ে তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এয়ারবিএনবি।
কীভাবে শুরু হয়েছিল বিতর্ক?
লিলি সম্প্রতি লন্ডনের একটি বিলাসবহুল এয়ারবিএনবি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ১০১ জন পুরুষকে আমন্ত্রণ জানান। ওই পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গমের এই ঘটনা ছিল তাঁর পরিকল্পিত ‘প্রশিক্ষণের’ অংশ। তবে এয়ারবিএনবির নিয়ম অনুযায়ী, ফ্ল্যাটে নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি অতিথি থাকার অনুমতি নেই। লিলি সেই নিয়ম ভেঙে শতাধিক পুরুষকে নিয়ে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করান।
ফ্ল্যাটের মালিক এই ঘটনার বিষয়ে শুরুতে কিছুই জানতেন না। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি প্রথমে বিষয়টি জানতাম না। পরে যখন শুনলাম, তখন খুবই বিস্মিত হয়েছি। ফ্ল্যাটটি পরিষ্কার অবস্থায় ছিল, তাই তৎক্ষণাৎ কিছু বুঝতে পারিনি। কয়েক দিন আগে পুরো ঘটনাটি জানতে পেরেছি।”

এয়ারবিএনবির পদক্ষেপ
এই ঘটনা জানার পর এয়ারবিএনবি কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। সংস্থার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমাদের নিয়ম ভঙ্গের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। আমরা লিলি ফিলিপসের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছি এবং ভবিষ্যতে তাঁর কোনও বুকিং গ্রহণ করা হবে না।”
বিশ্বরেকর্ডের লক্ষ্য এবং প্রস্তুতি
লিলি ফিলিপস তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, এক দিনে ১,০০০ পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করে বিশ্বরেকর্ড গড়তে চান। এই ‘রেকর্ড ব্রেকিং ইভেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর জন্য ইতিমধ্যে তিনি সারা বিশ্ব থেকে ইমেলের মাধ্যমে আবেদন সংগ্রহ করছেন।
তিনি আরও জানান, “আমি প্রক্রিয়াটি নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত। হাজার জনের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের বেছে নেওয়ার কাজ চলছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমি শারীরিক ও মানসিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছি।”
সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনা সামনে আসার পর লিলিকে ঘিরে বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। সমালোচকরা বলেছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড সামাজিক ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্নবিদ্ধ। আবার অনেকে এটিকে তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ বলে মনে করেন।
লিলি অবশ্য নিজের অবস্থানে অটল। তিনি বলেন, “আমি জানি অনেকেই আমাকে সমালোচনা করবেন। কিন্তু আমি যা করছি, তা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।”
উপসংহার
লিলি ফিলিপসের পরিকল্পনা এবং এই ঘটনায় তৈরি হওয়া বিতর্ক কেবল অনলাইনে নয়, বাস্তবেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এয়ারবিএনবির নিষেধাজ্ঞা তাঁর উদ্যোগে কিছুটা প্রভাব ফেললেও, তিনি তাঁর লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
এই ঘটনা একদিকে যেমন আধুনিক সমাজে ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা তৈরি করেছে, তেমনই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর নীতিমালা এবং সেগুলোর প্রয়োগ নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। লিলির ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ ও তাঁর পরিকল্পনার সফলতা দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে গোটা বিশ্ব।
জেলে বসেই জঙ্গি-জাল বিস্তার: রহস্যময় রহমানি ও মুর্শিদাবাদের যোগসূত্র

