ইব্রাহিমের নাক নিয়ে পাকিস্তানি সমালোচকের কটাক্ষ
‘নাদানিয়াঁ’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখার পর থেকেই সাইফ আলি খানের ছেলে ইব্রাহিম আলি খান রয়েছেন খবরের শিরোনামে। কখনও তাঁর অভিনয় নিয়ে, কখনও বা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে নানা চর্চা লেগেই রয়েছে। তবে এবার এক পাকিস্তানি সমালোচক তমুর ইকবালের কুরুচিকর মন্তব্য ঘিরে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, তমুর ইব্রাহিমের শুধু অভিনয় নয়, তাঁর চেহারা, বিশেষ করে তাঁর নাকের গঠন নিয়েও প্রকাশ্যে বিদ্রূপ করেছেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে অবশেষে মুখ খুললেন ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পলক তিওয়ারি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই সমালোচকের বিরুদ্ধে। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, তারকারা আজ কেমন একটা যুগে বেঁচে আছেন, যেখানে শুধু তাঁদের কাজ নয়, তাঁদের চেহারাও অবিরাম সমালোচনার শিকার।
পলক বলেন, “আজকের যুগে খ্যাতনামীদের কিছু বলা যেন একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে। শুধুমাত্র তাঁদের কাজ নয়, তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন, চেহারা, এমনকি শরীরের প্রতিটি অংশ নিয়েও মন্তব্য করা যেন খুব স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা বহু দিন ধরেই চলে আসছে, তবে এখন যে পরিমাণে বেড়েছে, সেটা ভয়াবহ।”
পলকের কথায়, “লোকে বলে, অভিনেতারা নাকি খুব সহজ কাজ করেন। যে কেউ নাকি অভিনয় করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবটা কী? আগে তো বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে কুকথা বলা হয়। আর যখন কোনও তারকা অস্ত্রোপচার করে নিজের চেহারায় বদল আনেন, তখন বলা হয়, ‘এটা কেন করলে? ভুল উদাহরণ তৈরি করছ!’ তাহলে তারকারা যাবে কোথায়?”
এই দ্বিচারিতা নিয়েই সবচেয়ে বেশি বিরক্ত পলক। তাঁর মতে, সমাজের একাংশ যেন তারকাদের সব দিক থেকেই ছোটো করে তোলার সুযোগ খুঁজে বেড়ায়। “আপনার নাক, চোখ, ওজন, চুল, স্কিন কালার—সব কিছুর উপরে মতামত দেওয়ার একটা আসক্তি তৈরি হয়েছে কিছু মানুষের মধ্যে। যাই করো না কেন, তাঁদের সমালোচনা পেতেই হবে,” বলেন তিনি।
পলক আরও জানান, এই ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য নতুন কিছু নয়, কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে এদের নাগাল পাওয়া সহজ হওয়ায় পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। মানুষ এখন যেন শুধুই সমালোচনা করতে উঠে পড়ে লেগেছে। “আসলে এঁদের কোনও কিছুতেই সন্তুষ্ট করা যায় না। আপনি যেমনই হন না কেন, খুঁত ধরার লোকের অভাব নেই,” বলেন তিনি।
এই পুরো ঘটনার প্রেক্ষিতে পলকের স্পষ্ট বার্তা—তারকারাও মানুষ, তাঁদেরও অনুভূতি আছে। তাঁদের শুধুমাত্র বিনোদনের সামগ্রী মনে না করে, কিছুটা সম্মান দেখানো উচিত। “তারকারাও অনেক পরিশ্রম করে, তাঁদের কাজ নিয়ে আলোচনা হোক—চেহারা নয়,” বলেই শেষ করেন পলক।
সমাজে যে কটাক্ষ আর হেনস্থার ভাষা ক্রমে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে, পলকের বক্তব্য যেন তারই বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদের সুর।
কন্যাকে বিশেষ কারণে কান-এ নিয়ে যান ঐশ্বর্যা! বিদেশি উৎসবে আরাধ্যার প্রিয় মুহূর্ত কী?