ইজ়রায়েলে পড়তে গিয়ে হামাসের হাতে বন্দি!
ইজ়রায়েলে পড়াশোনা করতে গিয়ে হামাসের হাতে বন্দি হন নেপালের যুবক বিপিন জোশী। জীবিত অবস্থায় দেশে ফেরার সুযোগ না পেলেও, দু’বছর পর অবশেষে তার লাশ ইজ়রায়েলের তেল আভিভ থেকে নেপালে পৌঁছেছে। তাঁর পরিবারের হাতে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান।
📌 ঘটনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ
| ঘটনা | বিবরণ |
|---|---|
| নাম | বিপিন জোশী |
| দেশ | নেপাল |
| পড়াশোনা | কৃষি বিষয়ক, কিবুৎজ় অ্যালুমিম, ইজ়রায়েল |
| বন্দিত্ব | হামাসের হাতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে |
| মৃত্যু | বন্দিত্বকালে, দু’বছর পর লাশ ফেরানো |
নেপালের রাষ্ট্রদূত ধনপ্রসাদ পণ্ডিত নেপালি সংবাদমাধ্যম Republica-কে নিশ্চিত করেছেন, বিপিনের দেহ সোমবার রাতে তেল আভিভ থেকে দেশে আনা হয়েছে। ইজ়রায়েলি সেনার মুখপাত্র এফি ডাফরিন জানিয়েছেন, চারজন পণবন্দিরও মৃত্যু হয়েছে হামাসের বন্দি অবস্থায়, যাদের দেহ ফেরানো হয়েছে।
📰 বিপিনের বন্দি হওয়ার পটভূমি
বিপিন নেপালের একটি ছোট শহর থেকে ২০২৩ সালে গাজ়ার সীমান্ত লাগোয়া ইজ়রায়েলের কিবুৎজ় অ্যালুমিমে পড়াশোনা করতে যান। সেখানে আরও ১৬ জন পড়ুয়া ছিলেন। কৃষি বিষয়ে গবেষণার জন্য খুব কম ছাত্রই সুযোগ পান, সেই কারণে বিপিনের সুযোগ জুটেছিল।
৭ অক্টোবর ২০২৩ হামাসের হামলার সময় গাজ়া সীমান্তে থাকা কৃষি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে বিপিনদের অবস্থান ছিল। হামলার সময় বিপিন একটি গ্রেনেড বাইরে ছুঁড়ে ফেলে অনেক সহপাঠীর জীবন বাঁচান। কিন্তু নিজে হামাসের হাতে ধরা পড়েন এবং পরে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
⚡ ভিডিও ও সংবাদ
ইজ়রায়েলি সেনা এক ভিডিও শেয়ার করেছিল, যেখানে বিপিনকে আহত অবস্থায় শিফার হাসপাতালে নেওয়া দেখানো হয়েছিল। এরপর দু’বছর ধরে বিপিনের অবস্থান অজানা ছিল। অবশেষে ইজ়রায়েল-হামাস বন্দি প্রত্যর্পণের মাধ্যমে লাশ দেশে ফিরল।
আরও পড়ুন: গাজ়ায় বন্দি শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও ইজ়রায়েল-হামাস সংঘর্ষ – bangla.technosports.co.in
🕊️ উপসংহার
বিপিন জোশীর গল্প কেবল ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, বরং আন্তর্জাতিক সংঘর্ষের মানবিক প্রভাবকেও তুলে ধরে। দু’বছর পরও পরিবার তাঁর লাশ ফিরে পেয়েছে, যা অন্তত একটি সম্ভাব্য সমাধান এবং শান্তির বার্তা বহন করে।
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও ছাত্রদের নিরাপত্তার গুরুত্ব আরও স্পষ্টভাবে উঠে আসে।


