Saturday, June 14, 2025

আর কাজ করবেন না বাবিল খান! দক্ষিণী পরিচালক সাই রাজেশ নিয়ে ইরফান-পুত্রের মর্মস্পর্শী প্রকাশ

Share

আর কাজ করবেন না বাবিল খান!

মে মাসের প্রথম দিকে যখন বাবিল খান সোশ্যাল মিডিয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়া এক ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, তখন পুরো অনুরাগী মহল হতবাক হয়ে গিয়েছিল। মানসিক অবসাদে তিনি যেসব কথা বলেছিলেন, তা নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন। সে সময় বাবিল দক্ষিণী পরিচালক সাই রাজেশের একটি ছবির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু মানসিক চাপের কারণে মাঝপথেই কাজ ছেড়ে মুম্বই ফিরতে হয় তাঁকে।

বাবিলের এই মানসিক সংকটের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর, তাঁর মা সুতপা শিকদার পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই ঝড় থামেনি। একাধিক পোস্টের মাধ্যমে বাবিল স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি ওই আসন্ন ছবিতে আর কাজ করবেন না।

সাই রাজেশের ছবিতে কাজ করা বাবিলের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে। বাবিলের মা এবং অভিনেতার সহযোগী দল জানিয়েছে, আপাতত তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন। আর ঠিক তখনই মুখ খুলেছেন পরিচালক সাই রাজেশ। তিনি দাবি করেছেন, বাবিল তার প্রতি সহমর্মিতা দেখানোর চেষ্টা করছেন এবং তিনি নিজেও যথেষ্ট সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন।

এর আগেও বাবিল সাই রাজেশের সঙ্গে কাজ করেছেন। ভারত-আমেরিকা যৌথ প্রযোজনার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘যক্ষী’ এবং ‘ফ্রাইডে নাইট প্ল্যান’ সিরিজে কাজ করায় তাঁদের সম্পর্ক ছিল সুসম্পর্কের।

কিন্তু সেই সম্পর্ক এখন সংকটে। বাবিল সম্প্রতি এক পোস্টে লিখেছেন, “খুবই বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি, অনুরাগ এবং পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে আমি এবং সাই রাজেশ স্যার এক যাদু নির্মাণে পথ হেঁটেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত কিছু অনিবার্য পরিস্থিতিতে সকলের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা গেল না।” তিনি আরও যোগ করেছেন, “আমার এই মুহূর্তে একটু বিশ্রাম দরকার। তাই স্যাই রাজেশ এবং তাঁর দলকে কাজ এগিয়ে নেওয়ার শুভেচ্ছা জানাই। আমি জানি আমাদের মধ্যে অসীম ভালোবাসা রয়েছে, এবং শীঘ্রই আবার দেখা হবে, নতুন যাদু গড়ার জন্য।”

সাই রাজেশ একসময় বাবিলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দাবি করেছিলেন, তিনি অনেক উপকার করেছেন, কিন্তু বাবিল তা প্রকাশ করেননি। বাবিল পাল্টা জানান, “আপনার ছবির জন্য আমি আমার জীবনের দুই বছর দিয়েছি। চরিত্রের জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সবই করেছি। এমনকি দাড়িতে উকুন ছিল, তবু পাত্তা দিইনি। প্রত্যেক মুহূর্ত আমি চরিত্র হয়ে বেঁচেছি, নিজের ভাল-মন্দ ভাবিনি।”

বাবিল আরও কষ্ট দিয়ে বলেন, “আপনাকে খুশি করার জন্য আমি চোখের জল লুকিয়ে হাসেছি, আপনার জন্য হাতের শিরা পর্যন্ত কেটেছি। আর আপনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে আমার হৃদয় ভেঙে দিলেন।”

এই প্রকাশিত বাক্যগুলোতে যেন বাবিলের মনোবেদনার এক আলোকচ্ছটা ফুটে ওঠে। একদিকে একজন তরুণ অভিনেতার স্বপ্ন, অন্যদিকে মানসিক চাপে ভোগা এক শিল্পীর সংগ্রাম—সব মিলিয়ে বাবিলের এই পরিস্থিতি ভক্তদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।

অভিনয়ের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও অত্যন্ত জরুরি। বাবিল খান যেন সেই মানসিক শান্তি ফিরে পান, সেই কামনায় রয়েছেন তাঁর সমর্থকরা। আর এই কঠিন সময় থেকে সেরে উঠেই যেন আবার দর্শকদের মুগ্ধ করেন তিনি—এটাই প্রত্যাশা।

সরস্বতী নদীর দূষণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা কাগজেই সীমাবদ্ধ? বাস্তব কাজ এখনও অধরা

Read more

Local News