পুরনো বিজ্ঞাপন ঘিরে ফের বিতর্কে বিরাট-জেনেলিয়া!
আবার শিরোনামে বিরাট কোহলি—এ বার অবশ্য ক্রিকেট নয়, এক পুরনো বিজ্ঞাপন ঘিরে। সঙ্গে রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডি’সুজা। একটি ঘড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার বিজ্ঞাপনে তাঁরা দু’জন একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন, যেখানে একটি উষ্ণ মুহূর্ত ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল বিমানের কেবিনে। বছর কয়েক আগের সেই বিজ্ঞাপন রবিবার হঠাৎ করেই সমাজমাধ্যমে ফের ভাইরাল হয়ে পড়ে, আর তাতেই শুরু বিতর্ক।
সাদা-কালো রঙের বিমানের ককপিট। বিরাট কোহলি সেখানে পাইলটের ভূমিকায়। হঠাৎ কেবিনে ঢুকে পড়েন জেনেলিয়া, বিমানসেবিকার বেশে। গলায় বাঁধা টাই ধরে বিরাটকে নিজের দিকে টেনে নেন তিনি। দু’জনের মাঝের দূরত্ব ক্রমশ কমতে থাকে। দৃশ্যটিকে শুট করা হয়েছিল এক রোমান্টিক ঘণিষ্ঠ মুহূর্ত হিসেবে, তবে এই ‘গ্ল্যামার’ দৃশ্য নতুন করে সমালোচনার ঝড় তোলে, বিশেষত বিরাট কোহলির মতো জাতীয় দলের ক্রিকেটারের সঙ্গে জেনেলিয়ার পরিচিতি ঘিরে।
এই দৃশ্যই রোববার ভাইরাল হতেই কেউ আবার টেনে আনেন অবনীত কৌরের একটি পুরনো ঘটনা। কিছুদিন আগেই বিরাটের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে অবনীতের একটি পোস্টে ‘ভালোবাসা’ বোঝানো ইমোজি পড়ে যায়। পরে বিরাট দাবি করেন, সমাজমাধ্যমের অ্যালগরিদমের ভুলে সেটি হয়েছে—তিনি নিজে অ্যাকাউন্ট চালান না। সে সময়ও কম জলঘোলা হয়নি। এমনকি স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাও বিরাটের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বলে খবর।
এই বিজ্ঞাপনকেও কেউ কেউ সেই পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে শুরু করেন। কেউ লিখেছেন, “বিরাট কি শুধুই বাণিজ্যের খাতিরে এমন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন? বিমানচালক বা বিমানসেবিকাদের ভাবমূর্তি কি এতে ক্ষুণ্ণ হয় না?” অন্যদের প্রশ্ন, “একজন জনপ্রিয় জাতীয় ক্রিকেটার এই ধরনের বিজ্ঞাপনে কী করে অংশ নেন?” অনেকে অবশ্য বিষয়টিকে অতীতে তৈরি একটি ফিকশনাল কনটেন্ট হিসেবেই দেখছেন এবং এর মধ্যে অপমানের কিছুই খুঁজে পাননি।
এমনও মত উঠে এসেছে, বিজ্ঞাপনে সাহসী বা ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দেখানো নতুন কিছু নয়—তবে তারকাদের সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী কিছুটা সংবেদনশীলতা থাকা উচিত। আবার কেউ কেউ বলছেন, এই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে নতুন করে আলোচনার মানে নেই—কারণ এটি বহু আগেই নিষিদ্ধ হয়েছে এবং সম্প্রচারের বাইরে।
বিরাট বা জেনেলিয়ার পক্ষ থেকে এখনও এই বিতর্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য আসেনি। তবে এই ঘটনা ফের প্রমাণ করে দিল, তারকাদের পুরনো কাজও নতুন আলোয় পড়ে মাঝে মাঝে ঝড় তুলে দিতে পারে।
🚨 “ধৈর্যের সীমা ছাড়াচ্ছে!”: কর্মীদের হুঁশিয়ারি Nothing-র CEO কার্ল পে-র