যোগী মডেলে ‘এনকাউন্টার’ চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী!
রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গেও যেন উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ মডেল অনুসরণ করে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “অভিযুক্তকে জমা নিয়েই খরচ করা উচিত!” — অর্থাৎ, গ্রেফতারের পরই ‘এনকাউন্টার’ নীতি প্রয়োগের পক্ষে তিনি মত দিয়েছেন।
🗣️ শুভেন্দুর বক্তব্যে কী ছিল মূল বার্তা?
বিজেপি কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,
“রাজ্যে একটার পর একটা নারকীয় ঘটনা ঘটছে, অথচ সরকার নীরব। ধর্ষণের মতো অপরাধে দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে, নইলে সাধারণ মানুষের আস্থা পুরোপুরি হারিয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন,
“জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে দুই বছর আগে এক কিশোরীর ধর্ষণ হয়েছিল, অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও এখনও তা কার্যকর হয়নি। তাই যোগী আদিত্যনাথের মডেলই একমাত্র উপায়।”
📍 রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি
| এলাকা | ঘটনা | প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া |
|---|---|---|
| কসবা | আইন কলেজ ছাত্রীর ধর্ষণ | তদন্ত চলছে |
| দুর্গাপুর | ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণ | অভিযুক্ত গ্রেফতার |
| রাজগঞ্জ | ধর্ষণ ও হত্যা মামলা | মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি |
এই ঘটনাগুলির পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী নেতা জানান, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব বিষয়ে মন্তব্য করেন, কিন্তু নারী নির্যাতনের ঘটনায় চুপ থাকেন কেন?”
⚖️ রাজনীতি থেকে নীতি পর্যন্ত বিতর্ক
শুভেন্দুর মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
একদিকে বিজেপি নেতারা একে “দ্রুত বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি” বলছেন, অন্যদিকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে— “আইনের শাসন না মেনে এমন দাবি বিপজ্জনক।”
উল্লেখ্য, এর আগেও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরজি কর-কাণ্ডের সময় ‘এনকাউন্টার’ মন্তব্য করেছিলেন, যা সেই সময়েও তীব্র আলোচনার জন্ম দেয়।
🔍 প্রেক্ষাপটে যোগী আদিত্যনাথ মডেল
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন অতীতে একাধিক এনকাউন্টার ঘটনার মাধ্যমে কঠোর আইন প্রয়োগের নজির গড়েছে।
India Today রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মডেল অপরাধ দমনে কার্যকর হলেও মানবাধিকারের দৃষ্টিতে বিতর্কিত রয়ে গেছে।


