অক্ষয়তৃতীয়ায় এই একটি ভুল করবেন না!!
অক্ষয়তৃতীয়া—শুভতার আরম্ভ, সমৃদ্ধির বার্তা। এই বিশেষ দিনে সূর্য ও চন্দ্র এমন অবস্থানে থাকে, যা পৃথিবীর উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই শুভ মুহূর্তকে ঘিরে নিজের বিশেষ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য।
খুব স্পষ্টবাদী ও যুক্তিবাদী হলেও ঈশ্বরে তাঁর অগাধ বিশ্বাস। বাড়ির লক্ষ্মীপুজো, সরস্বতীপুজোয় বরাবরই তাঁর একাগ্রতা নজর কেড়েছে অনুরাগীদের। গণেশচতুর্থীতে নিজ হাতে মূর্তি গড়ে পুজো করার মতো আন্তরিকতাও তাঁর মধ্যে রয়েছে। অক্ষয়তৃতীয়ার ক্ষেত্রেও কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চলেন তিনি।
অপরাজিতা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, “এই দিনে পুজো করলে মানুষের সুখ-শান্তি অক্ষয় হয়। পরিবারে সমৃদ্ধি আসে। ধনতেরসের মতো অক্ষয়তৃতীয়াতেও কুবেরের পুজো করা হয়, যা সারাবছর খুব কমই হয়। ফলে এই দিনে বিশেষ ভাবে ধনসম্পদ ও কল্যাণের প্রসার ঘটে।”
তবে এই শুভ দিনে একটি বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অপরাজিতা। তিনি জানান, অক্ষয়তৃতীয়ায় কালো রঙের কোনও কিছু কেনা উচিত নয়। কালো পোশাক, বাসন বা বিশেষ করে কালো প্লাস্টিক—এসব কিছু এ দিন বাড়িতে না আনারই পরামর্শ দেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই এই নিয়ম মেনে চলেন অপরাজিতা।
শুধু তাই নয়, জ্যোতিষশাস্ত্রের উপরও বিশ্বাস রাখেন অভিনেত্রী। পরিবারের মঙ্গল কামনায় এক সহজ টোটকাও অনুসরণ করেন তিনি। অপরাজিতা বলেন, “আজকের দিনে পৃথিবীজুড়ে একটা অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। এই অস্থিরতা দূর করতে চাইলে আমাদের স্থির থাকতে হবে। কারণ স্থিরতার মধ্যেই শ্রীকৃষ্ণের উপস্থিতি অনুভব করা যায়।”
স্থিরতা বজায় রাখতে তাঁর পরামর্শ, প্রতিদিন বা অন্তত মঙ্গলবার ও শনিবার বাড়িতে কর্পূর ও লবঙ্গ জ্বালাতে হবে। এতে শুধু পোকামাকড়ই দূর হয় না, ঘরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তিও দূর হয়, বাড়ে ইতিবাচক শক্তি।
অক্ষয়তৃতীয়ার খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কেও স্পষ্ট মত অপরাজিতার। তিনি বলেন, “এই দিনে নিরামিষ আহারই শ্রেয়। বাড়িতে পুজোপাঠ হয়, তাই মাছ-মাংস এড়িয়ে নিরামিষ খাবারই আমার পছন্দ। বিশেষ করে শনিবার চন্দ্রের অবস্থানের কারণে গুরুপাক খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, নইলে হজমের সমস্যা হতে পারে।”
পরিশেষে অপরাজিতা মনে করিয়ে দেন, নিয়ম মানার মধ্যে দিয়ে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক শান্তিও লাভ করা সম্ভব। আর মানসিক শান্তির চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছুই হতে পারে না।
বিএসএফ কর্তাদের আশ্বাসেও থেমে নেই উৎকণ্ঠা, সোমবার পঞ্জাব যাচ্ছেন পূর্ণমের স্ত্রী