Monday, December 1, 2025

রাহার জন্মের পর দ্রুত ওজন কমিয়ে কটাক্ষের শিকার আলিয়া, কী ছিল তাঁর রহস্য?

Share

ওজন কমিয়ে কটাক্ষের শিকার আলিয়া!

২০২২ সালে কন্যা রাহার জন্মের পর বদলে গিয়েছিল বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভট্টের জীবন। মাতৃত্বের আনন্দের পাশাপাশি ওজনও বেড়ে গিয়েছিল অনেকটা। তবে আশ্চর্যের বিষয়, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের আগের শরীরের ছন্দে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু এই পরিবর্তনেই শুরু হয় নেটমাধ্যমে নানা সমালোচনা ও কটাক্ষ। সম্প্রতি এক চ্যাট শো-তে নিজের সেই অভিজ্ঞতা খোলাখুলি শেয়ার করেছেন আলিয়া।

মাতৃত্বের সময়ে দেহের ওজন বৃদ্ধি একেবারেই স্বাভাবিক বিষয়। অনেকের ক্ষেত্রেই সন্তান জন্মের পর সেই অতিরিক্ত ওজন কমানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। আবার কিছু মানুষের শরীরে সেটি তুলনামূলক সহজ হয়। আলিয়ার ক্ষেত্রেও দ্বিতীয়টাই ঘটেছিল। তিনি জানান, ‘‘রাহার জন্মের পর আমার শরীরে অনেক ওজন বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু মেয়েকে স্তন্যপান করানোর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন কমতে শুরু করে। এর সঙ্গে ছিল সুষম খাবারের অভ্যাস। তার ফলেই আমি দ্রুত আগের মতো হয়ে উঠতে পেরেছি।’’

তবে এই স্বাভাবিক পদ্ধতিতে ওজন কমানোর পরও আলিয়াকে ছাড়েননি সমালোচকেরা। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ছবি দেখে অনেকে বলেছিলেন আমি নিশ্চয়ই কৃত্রিম বা সার্জারির মাধ্যমে ওজন কমিয়েছি। কিন্তু আমি তেমন কিছুই করিনি। কোনও শর্টকাট ব্যবহার না করেই স্বাভাবিক পথে এগিয়েছি।’’

চিকিৎসকেরাও বলছেন, গর্ভাবস্থায় ওজন কতটা বাড়বে তা নির্ভর করে একাধিক বিষয়ের উপর— যেমন শরীরের গঠন, জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং মেটাবলিজ়ম। আর সন্তান জন্মের পর ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও হুট করে কঠিন ডায়েট শুরু না করে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ। স্তন্যপান করানোর মাধ্যমে যেমন ওজন কমতে সাহায্য করে, তেমনই নিয়মিত হাঁটা-চলা, হালকা ব্যায়াম এবং সুষম আহার শরীরকে আবার সুস্থ ছন্দে ফিরিয়ে আনে।

আলিয়া নিজেও সেই নিয়ম মেনে চলেছেন। তিনি কখনও চরম ডায়েট বা কড়া ব্যায়ামে যাননি। বরং মাতৃত্বের সময় ও পরের শরীরকে স্বীকার করে নিয়ে নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান ছিলেন। তাঁর মতে, নতুন মায়েদের জন্য সবচেয়ে জরুরি হল নিজের শরীরের কথা শোনা এবং তার প্রয়োজন বোঝা।

এই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি নতুন মায়েদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন, “অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজের শরীরকে সময় দিন। দ্রুত ওজন কমানোর চাপ নেবেন না। মাতৃত্ব এক সুন্দর যাত্রা, এর প্রতিটি ধাপকেই আপন করে নিতে শেখা উচিত।”

রাহার জন্মের পর যে আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্যের সঙ্গে আলিয়া নিজের জীবন ও শরীরকে গড়ে তুলেছেন, সেটি নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণাদায়ক। কটাক্ষ ও সমালোচনার মধ্যেও নিজের পথে অটল থেকে তিনি প্রমাণ করেছেন, স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সুস্থ থাকা ও নিজের শরীরে ফিরিয়ে আনা একেবারেই সম্ভব।

মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ফিটনেস ফিরে পেয়ে এখন আরও শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী আলিয়া আবারও ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন কাজের জগতে। তবে মাতৃত্বের নতুন অধ্যায় তাঁর জীবনে এনেছে এক অনন্য ভারসাম্য — যেখানে তিনি সমান দক্ষতায় সামলাচ্ছেন মা হওয়ার দায়িত্ব এবং অভিনেত্রী হিসেবে নিজের পরিচয়।

কষা মাংসের রান্নায় পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখে জল? জানুন ৫ কার্যকরী টোটকা

Read more

Local News