Monday, December 1, 2025

আম খাওয়ার সেরা সময় এবং কীভাবে খেলে ওজন বা শর্করা বাড়বে না!

Share

সেরা সময় আম খাওয়ার

গ্রীষ্মের রাজা আম — মিষ্টি, রসালো আর সুস্বাদু। ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর এই ফল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু কি আপনি জানেন, আম খাওয়ার সঠিক সময় আর সঠিক উপায়ে না খেলে তা ওজন বা রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে? বিশেষ করে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান বা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য আম খাওয়ার সময় এবং পদ্ধতি জানা খুবই জরুরি। চলুন জেনে নিই, দিনের কোন সময়ে আম খাওয়া সবচেয়ে ভালো এবং কীভাবে খেলে তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি কমাবে।

দিনে কতটা আম খাওয়া নিরাপদ?

একটি মাঝারি আকারের আমে থাকে প্রায় ১২০-১৫০ ক্যালোরি এবং প্রায় ৪৫ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি (সুক্রোজ)। ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার থাকায় এটি শরীরের জন্য ভালো, তবে এই ক্যালোরি ও চিনি অনেক বেশি। সুস্থ মানুষ দিনে একটা আম খেতে পারেন, তবে ডায়াবেটিস রোগী বা ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তিদের অবশ্যই পরিমিতি মেনে আম খেতে হবে।

দিনের কোন সময়ে আম খাওয়া ভালো?

  • সকালবেলা: সকালে আম খাওয়াই সবথেকে ভালো সময়। কারণ সকালে আমাদের বিপাক সবচেয়ে ভালো কাজ করে। এই সময় আমে থাকা চিনি সহজেই শরীরে পচে যায়, বিপাক বাড়ায় আর শরীর পায় শক্তি। তাই সকালে আম খেলে শরীর তাকে পজিটিভ ভাবে গ্রহণ করে।
  • শরীরচর্চার পরে: ব্যায়ামের পরে আম খাওয়া শরীরের ক্লান্তি দূর করতে দারুণ। ব্যায়ামের ফলে শরীর শক্তি হারায়, এবং আমে থাকা সুগার দ্রুত শক্তিতে পরিণত হয়, যা প্রোটিন বারের থেকে অনেক বেশি কার্যকরী। ব্যায়ামের পরে আম খেলে শরীরের পুনর্গঠনও ভালো হয়।
  • রাতে: রাতে খাবারের পরে আম খাওয়া পরিহার করা উচিত। কারণ রাতে খাবারের পর শরীর বিশ্রামে যায় এবং তৎক্ষণাৎ আম থেকে চিনি ভাঙার সময় পায় না। এর ফলে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমে যায়, যা ওজন বাড়ানোর অন্যতম কারণ। তাই রাতের বেলা বিশেষ করে ঘুমানোর আগে আম খাওয়া বর্জনীয়।

আম কীভাবে খাবেন?

আমে প্রচুর চিনি থাকায় তাকে কখনো একাই খাওয়া উচিত নয়। আমের সাথে প্রোটিন বা ফ্যাট জাতীয় কিছু খাবার নিলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে। যেমন:

  • দইয়ের সঙ্গে আম: দইয়ের প্রোটিন শরীরে চিনি শোষণে সাহায্য করে, ফলে রক্তে শর্করার ওঠাপড়া কম হয়।
  • চিয়া বীজ বা বাদামের সঙ্গে আম: বাদাম ও চিয়া বীজের ফ্যাট রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ত্বকেও পুষ্টি দেয়।

এই সব খাবার একসাথে খেলে আপনি পাবেন আমের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দুটোই, তবুও রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

সতর্কতা

যদি ডায়াবেটিস বা ওজন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা থাকে, তবে আপনার খাদ্যতালিকা ও সময়সূচি অনুসারে আম খাওয়ার পরিমাণ ঠিক করুন। প্রয়োজনে ডায়েটিশিয়ান বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৭৫-এ সুদৃঢ়, জিমে ঝড় তুলছেন রাকেশ রোশন! ফিট থাকার ৭টা সিক্রেট এক্সারসাইজ

Read more

Local News